মোদী দেবে ৫০০ টাকা করে, চালু হচ্ছে ‘বিশ্বকর্মা, প্রকল্প
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ‘বিশ্বকর্মা’ নামে একটি নতুন প্রকল্প।তার পরেই ‘পি এম বিশ্বকর্মা’ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তার সব কিছু জানিয়ে দিলো দেশবাসীকে। তাতে বলা হয়েছে, চিরাচরিত দক্ষতা নির্ভর পেশার সঙ্গে যুক্তরা ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভুর্তুকিতে ঋণ পাবেন। নির্দিষ্ট করে ১৮টি পেশাকে এই প্রকল্পের সুবিধার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। কুম্ভকার,কর্মকার,কাঠমিস্ত্রির মতো চিরাচরিত পেশার সঙ্গে যুক্তদের মাত্র ৩ শতাংশ সুদে এই ঋণ দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিরাচরিত এই পেশাগুলি মূলত পারিবারিকভিত্তিক।
অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর (ও বি সি ) মানুষরাই এই পেশাগুলির সঙ্গে যুক্ত। আগামী বছরের লোকসভা ভোটার আগে ওবিসিদের মনজয়ের লক্ষেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। স্বধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে এই প্রকল্পের সূচনা করবেন।
দিন প্রধানমন্ত্রীর পৌরোহিত্যে অর্থ বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১৩ হাজার কোটি টাকার এই ‘পি এম বিশ্বকর্মা’ যোজনা ছাড়পত্র পেয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছরের। অর্থাৎ ২০২৮ সাল পর্যন্ত ভুর্তুকিতে এই ঋণের সুবিধা পাওয়া যাবে।
বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশনি বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে ৩০ লক্ষ কর্মী এবং তাদের পরিবার উপকৃত হবেন। পেশাদারদের দক্ষতা বৃদ্ধির উপরেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। বৃবিতিতে জানানো হয়েছে, দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ চলাকালীন দৈনিক ৫০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। এছাড়াও কাজের জন্য আধুনিক সরঞ্জাম কিনতে দেওয়া হবে ১৫ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার বৈঠকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই খাতে আরো ১৪ হাজার ৯০৩ টাকা বরাদ্দ হবে। বৈষ্ণব বলেন, এই অর্থে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তথ্য প্রযুক্তি কর্মীকে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হবে। এদিকে দেশের ১৬৯ শহরে আরও ১০ ইলেক্ট্রিক বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘পি এম ই সেবা’ প্রকল্পের এই বাসগুলিকে ১০ বছরের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেবে ২০ হাজার কোটি টাকা।