মোদির প্রকল্প বন্ধ মমতা চালু করলো ৮০০ টাকা স্কলারশিপ
বই কেনার জন্য প্রিম্যাটিক স্কলারশিপ ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা বাড়ানো হলো |কেন্দ্রের বন্ধ করা ছাত্রবৃত্তি এখন মমতা দেবে |শিক্ষার মতো বিষয়ে মোদির যে আগ্রহ নেই তা এতোদিনেই স্পষ্ট |কখনো গবেষণা খাতে বরাদ্দ কমে দেওয়া বা কখনো প্রান্তিক শ্রেণীর পড়ুয়াদের বৃত্তি কমিয়ে দেওয়া, একের পর এক সিদ্ধান্তে এই ধারণা জোরালো হচ্ছে | তাই কেন্দ্রীয় সরকার এই স্কলারশিপ বন্ধ করে মমতা ব্যানার্জী নিজেই এই প্রকল্প চালাবেন ও সবাইকে আর্থিক সাহায্য করবেন |
প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তফসিলি জাতি,উপজাতি,ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার কিন্তু গরিব পড়ুয়ারা যাতে বৃত্তি থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকেই সেই বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে |
এর জন্য আগামী আর্থিক বছরের বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হবে, শুধু তাই নয়, এই শ্রেণীর যে পড়ুয়ারা বাড়ি থেকে পড়াশোনা করে তাদের বই কেনার জন্য এককালীন বৃত্তি ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার |
সূত্রের খবর, তপশিলি জাতি,উপজাতি, বা ওবিসি শ্রেণীভুক্ত কোনও ছাত্রছাত্রীর পারিবারিক আয় বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকার কম হলে এই বৃত্তি মেলে | কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এখন শুধুমাত্র নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য এই পড়ুয়ারাই এই বৃত্তি পাবে, এখানে বঞ্চিত হতে হবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের, এই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় | কেন্দ্রের বন্ধ করা প্রকল্প এখন নিজেই চালাবে মমতা সরকার, এই খাতে এতদিন কেন্দ্র সরকার দিতো ৭৫ শতাংশ টাকা ও রাজ্য সরকার দিতো ২৫ শতাংশ টাকা, কিন্তু রাজ্যের এহেন সিদ্ধান্তে রাজ্যকেই এখন সব খরচ বহন করতে হবে |
প্রসঙ্গত, বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য যে পড়ুয়ারা বাড়িতে বসে বা বাড়ি থেকে পড়াশুনা করে তারা প্রতি মাসে ২২৫ টাকা এবং আবাসিক ছাত্রছাত্রীরা ১০ মাসের জন্য প্রতি মাসে ৫২৫ টাকা করে পেয়ে থাকে এই স্কলারশিপ থেকে
আর বই কেনার খরচ এককালীন এই দুই ধরণের পড়ুয়া যথাক্রমে ৭৫০ এবং ১০০০ টাকা করে পায় | তাদের ওই বৃত্তি এখন ৫০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে |
আরো অন্যান্য স্টোরে কিছু বৃদ্ধি হবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলছে, আর এদিকে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য আগেই চালু করেছে সরকার ‘ঐক্যশ্রী’ স্কলারশিপ এখন রাজ্যের ৪৫ লক্ষ পড়ুয়া এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন |
রাজ্যের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, নানা ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বঞ্চনার জেরে রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট খারাপ, কিন্তু প্রান্তিক শ্রেণীর পরিবারের যন্ত্রনা মেনে নেওয়া যায় না বলেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে |